প্রেমিকা আমদানিতে শীর্ষে বাংলাদেশ, লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হতে বাকি মাত্র এক ধাপ !!!
গত কয়েক বছরে ফেসবুকের কল্যাণে বাঙালির প্রেম-প্রতিভা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বহির্বিশ্বে। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা বয়টার্সের এক সমীক্ষায় জানা গেছে, প্রেমের বৈশ্বিকীকরণে গত দুই বছরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক ট্রেড অ্যানালিস্টরা দিয়েছেন আরও চমকপ্রদ তথ্য। প্রেমিকা আমদানিতে এই মুহূর্তে শীর্ষ পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ অবস্থানেও আর কোনো দেশ নেই বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক প্রেমবাজারে বাংলাদেশের এই একচেটিয়া সাফল্যে তাই হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে দেশি প্রেমিকদের মধ্যে।
এদিকে ইউরোপ আমেরিকার প্রেমিকদের মধ্যে বাংলাদেশের সাফল্যে নিয়ে অনেককেই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করতে দেখা গেছে। আমেরিকান কিছু প্রেমিক তাদের প্রেমিকাদেরকে বাংলাদেশি ছেলেদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট এক্সেপ্ট করা এবং লিস্টে থাকা বাংলাদেশি ছেলেদেরকে ছাটাই করার হুমকি দিয়েছেন বলে ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রামসূত্রে জানা গেছে। এদিকে ওসব দেশের সিঙ্গেল পুরুষরাও আছেন বেকায়দায়। ইতালির এক ফরেভার এলোন বাজ্জিরাও জানান, 'আমার মেয়েবন্ধুরা সবাই বাংলাদেশি ছেলেদের সঙ্গে চ্যাট করে। আমার মেসেজ তারা গত কয়েক মাস ধরে সিন করে রেখেছে। আমার আর ভালো লাগছে না। গো টু হেল বাংলাদেশি প্রেমিকস, *ক অফ!'
সদ্য নির্বাচিত আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পর্যন্ত নিজের ব্যক্তিগত টুইটার একাউন্টে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন, 'ওকে প্রায়ই এরশাদ নামের একটা ছেলের সঙ্গে চ্যাট করতে দেখি। তার মধ্যে বাংলাদেশি প্রেমিকরা যা শুরু করছে! ভরসা পাচ্ছি না! শালার এই জন্য বাঙালীদের আমেরিকায় ঢুকতে মানা করলাম, এখন দেখি এরা ফেসবুকে অ্যাটাক করছে...' এইটুকু লিখেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন ট্রাম্পের একজন ব্যক্তিগত সহযোগী।
এদিকে একই দিনে থাইকন্যার বাংলাদেশে আগমন এবং প্রেমিকার আমদানির শীর্ষস্থানে বাংলাদেশের নাম ঘোষণার খবরে তুমুল উল্লসিত নিখিল বাংলাদেশ ফেসবুক প্রেমিক গ্রুপের সদস্যরা। ফেসবুক গ্রুপটিতে আজ এক বর্ণাঢ্য ভার্চুয়াল মিছিলের আয়োজন করা হয়। উল্লসিত গ্রুপ এডমিন জানান, 'ফেসবুকে মেসেঞ্জারে প্রেমিকা পটানো একটা আর্ট ভাই, একটা আর্ট! যারা এতদিন আমাদের এই প্রতিভার মুল্য দেয় নাই, তারা আজকে বুঝবে, আমরা এখন জাতীয় থেকে এই শিল্পে আন্তর্জাতিক লেভেলে চলে গেছি। আমাদের নেক্সট টার্গেট ইউরোপ, গ্রীনল্যান্ড, অ্যান্টার্কটিকা, আফ্রিকা, হনলুলু। আগামী এক মাসের মধ্যে এসব দেশ থেকেও প্রেমিকা আমদানি করার লক্ষ্যে আমাদের কাজ শুরু করতে হবে। যে যেইখানে ইউরোপিয়ান ও অন্য এসব দেশের মেয়ে আইডি পাবেন, রিয়াল ফেক সবাইকে এডান...!'
তবে থাইকন্যার আগমন নিয়ে কিছু বিতর্কেরও সৃষ্টি হয়েছে। 'ইয়াং বাংলা প্রেমিকজোট' ও 'ডেস্পারেটলি সিকিং বিদেশী প্রেমিকা' নামের দুগ্রুপের এডমিনই থাই কন্যা সুপুত্তোর প্রেমিক অনিক খানকে নিজেদের গ্রুপের মেম্বার বলে দাবী করছেন। এই নিয়ে আইডি রিপোর্ট যুদ্ধে টালমাটাল ফেসবুক। অন্যদিকে দেশের নারী সমাজে নেমে এসেছে হতাশা। দেশের সব পুরুষ যেভাবে বিদেশী নারীদের প্রেমের জালে ফেলে বাংলাদেশে নিয়ে আসছেন সেখানে ভবিষ্যতে দেশি মেয়েরা জীবন সঙ্গী খুঁজে পাবেন কিনা সে বিষয়ে শংকিত সবাই।
এই ঘটনায় 'এঞ্জেল সুইটি নারী সংঘ' আগামীকাল ধানমণ্ডির রবীন্দ্র সরবোরে সকাল দশটায় কালো শাড়িতে এক শোক সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
কালেক্টেড (এটি একটি ফান পোস্ট )
No comments