দেশের বাইরে চীনের প্রথম সামরিক ঘাঁটি
দেশের বাইরে প্রথম সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে আফ্রিকার দেশ জিবুতির পথে রওনা হয়েছে চীনের সামরিক জাহাজের বহর। গতকাল মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানায়।
সিনহুয়ার বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের খবরে বলা হয়, চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গাংডং প্রদেশের বন্দর ঝানজিয়াং থেকে জিবুতির উদ্দেশে রওনা হয়েছে জাহাজগুলো। কতগুলো জাহাজ জিবুতির উদ্দেশে যাচ্ছে এবং কবে থেকে ওই ঘাঁটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হবে, তা বলা হয়নি সিনহুয়ার প্রতিবেদনে।
চীনের প্রথম বৈদেশিক নৌঘাঁটি স্থাপনে জিবুতিকে বেছে নেওয়ার কারণ হলো কৌশলগতভাবে দেশটির অবস্থান। এটি লোহিত সাগর হয়ে সুয়েজ খালে প্রবেশদ্বারের কাছেই। এবারই প্রথমবারের মতো সেখানে চীনের সেনাবাহিনীর সদস্যরা যাচ্ছেন। আফ্রিকা ও পশ্চিম এশিয়ায় শান্তিরক্ষা ও মানবিক সাহায্য প্রদানে চীনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে এই ঘাঁটি। এ অঞ্চলের সামরিক সহযোগিতা, নৌবাহিনী এবং উদ্ধার অভিযানেও অংশ নেবে চীনের সেনারা।
সিনহুয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ আলোচনার’ পর এই ঘাঁটি নির্মাণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। গত বছর এই ঘাঁটি তৈরির কাজ শুরু হয়।
আজ বুধবার দেশটির সরকার-নিয়ন্ত্রিত পত্রিকা গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘চীনের নিরাপত্তা রক্ষার উদ্দেশ্যেই দেশের সামরিক উন্নয়ন অপরিহার্য। এটা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে নয়।’ জিবুতিতে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ফ্রান্সের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে।
সম্প্রতি আফ্রিকায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও দ্রুত সামরিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নে কাজ করছে চীন। ২০১৫ সালে আফ্রিকার দেশগুলোর এক সম্মেলনে আফ্রিকার উন্নয়নে ছয় হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয় চীন।
No comments