বাংলাদেশের সামনে আজ নিউজিল্যান্ড

এ সিরিজে মূল একাদশের যারা খেলছেন না তারা হলেন- কেন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিল, কোরি অ্যান্ডারসন, মিচেল ম্যাকলেনহান, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, অ্যাডাম মাইলন, কলিন ডি গ্রান্ডহোম। ফলে তুলনামূলক দুর্বল দলই পাচ্ছে মাশরাফিরা। এ সুযোগটা কাজে লাগানোরও অপূর্ব সুযোগ টিম বাংলাদেশের। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য আত্মবিশ্বাস অর্জনই নয়। এ সিরিজে অন্তত তিনটি ম্যাচ জিততে পারলে র্যাংকিংয়ে ৬-এ ওঠার সুযোগ। যাতে করে আগামী বিশ্বকাপে সরাসরি খেলারও একটা সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। ফলে অনেক কিছু নির্ভর করার ফলে টুর্নামেন্টের গুরুত্বটা বেড়ে গেছে। এ দিকে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ায় একটি সুযোগ হাতছাড়া ইতোমধ্যে হয়ে গেছে বাংলাদেশের। প্রথম ব্যাটিং করে বাংলাদেশ দল ওই ম্যাচে ৩১.১ ওভারে ১৫৭/৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। যাতে তামিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যথাক্রমে অপরাজিত ছিলেন ৬৪ ও ৪৩ রানে। ব্যাট হাতে ব্যর্থতা দেখায় সৌম্য সরকার, সাব্বির রহমান রুম্মন, মুশফিক ও সাকিব। আজ প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা নিয়ে ভালো করার সুযোগ এ ব্যাটসম্যানদের। ওই ম্যাচে খেলেননি মাশরাফি। এ ম্যাচে অধিনায়কত্ব নিয়ে ফিরছেন মাশরাফিও। ফলে দল এবার পূর্ণ শক্তি নিয়েই লড়াইয়ে নামবে। অপর দিকে দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ড যথারীতি হারিয়েছিল আইরিশদের। যে ম্যাচে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৮৯ রান করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে নিল ব্রুম ৬৩ বলে ৭৯ ও রস টেইলর ৬০ বলে ৫২ রান করেন।
জবাবে উইকেটরক্ষক নিয়াল ও’ব্রায়ানের ১০৯ রান সত্ত্বেও ২৩৮ রানেই গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ১৩১ বলের ইনিংসে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন ও’ব্রায়ান। বল হাতে ৫০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের জয়ে প্রধান ভূমিকা রাখেন মিচেল স্যান্টনার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ৮টিতে বাংলাদেশ এবং ২০টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড। তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের স্মরণীয় জয়ও আছে। ২০১০ ও ২০১৩ সালে দু’টি ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ দেশের মাটিতে। এবার লড়াইটা নিরপক্ষে ভেনুতে। এ ম্যাচে ভালো করার প্রত্যাশা টিম বাংলাদেশের।
No comments